বিবিসির বিভিন্ন প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মোবাইল আসক্তি ভয়াবহ মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।মানসিক চিকিৎসকেরা এর নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’।বিশেষ করে শিশু-কিশোরদেরকে এই আসক্তি অটিস্টিকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।কেউ কেউ মোবাইল আসক্তিকে মাদকাসক্তির মতই বিপজ্জনক বলেছেন।
করোনাকালে মোবাইল আসক্তি ভয়াবহভাবে বেড়েছে।গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।শিক্ষার্থীদের হাতে অফুরন্ত অবসর সময় থাকায় তারা মোবাইল আসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
তারা ইচ্ছা করলে এই অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারতো।ক্লাশের যে সাবজেক্টগুলোতে তারা দুর্বল সেগুলো একটু ঝালিয়ে নিতে পারতো, আত্মউন্নয়ন, স্বাস্থোন্নয়ন, শরীরচর্চা, ভাষা শেখা, ক্যারিয়ার গঠন, যৌবনের যত্ন ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর বই পড়তে বা ভিডিও দেখতে পারতো; কিন্তু বেশিরভাগ তরুণ বা শিশু-কিশোররা সেদিকে না যেয়ে দেদারছে সময় নষ্ট করেছে।অথচ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ব্যস্ততা আসার আগে অবসর সময়কে কাজে লাগাতে।
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত একটি হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন, “পাঁচটি অবস্থার সন্মুখীন হওয়ার পূর্বেই তার যথার্থ মূল্যায়ন কর; তোমার বার্ধক্যের পূর্বে তোমার যৌবনের, তোমার অসুস্থতার পূর্বে তোমার সুস্থতার, তোমার অসচ্ছলতার পূর্বে তোমার সচ্ছলতার, তোমার ব্যস্ততার পূর্বে তোমার অবকাশের এবং তোমার মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনের।”
এমনকি হাশরের ময়দানে যে ৫ টি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ এক পা'ও নাড়াতে পারবে না তার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ তার ‘যৌবনকালে কোন আমল করেছো ?’ এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। কারণ মানুষের জীবনে যৌবনকালটাই হচ্ছে আত্মগঠনের পক্ষে সবচেয়ে মূল্যবান ও উজ্জ্বল সময়।এই সময়টাতেই সে বেশি কাজ করতে পারে।যৌবনকালে মানুষের যে পরিমাণ শক্তি, সাহস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে তা অন্য সময়ে থাকে না।তাই বিশেষভাবে এ সময়ের হিসাব চাইবেন আল্লাহ তায়ালা।
সময়ের সদ্ব্যবহার করতে সময়ের গুরুত্ব ও এর অপচয়ের্ পরিণাম সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও ধারণা থাকা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন