ইসলাম মধ্যপন্থা ও ভারসাম্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।মানব জীবনের এই বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক সমস্যার একটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অন্যটিকে উপেক্ষা করে না।
যেহেতু আল্লাহ উভয়টিই সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের উভয়েরই প্রয়োজন তাই একটিকেও অবহেলা করা ঠিক হবে না। এটি ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং উপযুক্ত হিসাবে প্রতিটি দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যায়, আখেরাতের জন্য উপার্জনের পুঁজি হিসেবে এই দুনিয়া একটি অতি মূল্যবান উপহার। একজনকে অবশ্যই এই উপহারটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যবহার করতে হবে। পরকালই আসল লক্ষ্য এবং এটা কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি যেমন শুধুমাত্র এই দুনিয়ার প্রতি মনোযোগ দেয়, তেমনি খ্রীষ্টীয় যাজকীয় দৃষ্টিভঙ্গি যা শুধুমাত্র পরকালের জন্য উদ্বিগ্ন তাও মানুষের চাহিদা পূরণ করে না। তাদের একটিকে অন্যটির জন্য ত্যাগ করা উচিত নয়; বরং উভয়ের মধ্যেই সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
আত্মা এবং দেহ মানুষের দুটি দিক তৈরি করে। যদিও আত্মা অপরিহার্য উপাদান, শরীর তার বাহক। তারা একসাথে থাকলেই কিছু করা সম্ভব। তাই শুধু আত্মার প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং শরীরকে অবনত করা ঠিক নয়। আমাদের নবী আমাদেরকে যা বলেছেন, আখেরাতে মানুষকে প্রথম যে বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে তা হল তারা কীভাবে তাদের স্বাস্থ্য ব্যবহার করেছিল।
ইসলাম আমাদেরকে এমনকি নামাজ, রোজা এবং দরিদ্রদের পাওনা যাকাতের মতো ইবাদতের ক্ষেত্রেও যথাযথ ভারসাম্য বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এটি অতিরিক্ত উপাসনাকে (বৈরাগ্য) প্রত্যাখ্যান করেছে যা একজনকে অতিরিক্ত ক্লান্ত করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন